মালয়েশিয়অ অবস্থানরত প্রবাসীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট:মালয়েশিয়ায় অাপনি অবৈধ হলে কি করবেন? জেনে নিন, শেয়ার করে বন্ধুদের জানিয়ে দিন

অামাদের শ্রদ্ধেয় দাদা সিনিয়র সাংবাদিক গৌতম রায় (মালয়েশিয়া)

১ জুলাই থেকে মালয়েশিয়ায় চলবে নতুন সরকারের অবৈধ বিদেশী আটকে সাড়াশী অভিযান। এতে প্রচুর বাংলাদেশী যে ধরা পড়বে তাতে কোন ভুল নেই। ধরা পড়লে কি ভোগান্তি পোহাতে হয় তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ আর ভালো জানে না।

দিনটি আমার আবার জন্মদিন। এই দিনেই অশুভ ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। আপনি কি মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে বসবাসরত কেউ? তাহলে আমার এই টিপসগুলো আপনার মনে রাখা একান্ত জরুরী।

১. মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিক দুই প্রকার। যেমন-
ক) বৈধভাবে এসে অবৈধ হয়ে পড়া বা বৈধ থাকার পর অবৈধ হওয়া।
খ) অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অনুপ্রবেশ। যেমন- নৌকায়, ট্রলারে থাইল্যান্ড বা ইন্দোনেশীয়া দিয়ে আসা।
অর্থাৎ মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন রেকর্ডে যার কোন তথ্য নেই। মালয়েশিয়া আইনে এদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর শাস্তি হচ্ছে- বেত্রাঘাত বা জেল বা অর্থদন্ড। আর বৈধভাবে থাকা ও আসার পর অবৈধ হয়ে যাওয়া শ্রমিকের সাজা বেত্রাঘাত নয়। তবে জেল বা অর্থদন্ড হতে পারে। কাজেই ধরা পড়ার পূর্বে বৈধ থাকা শ্রমিকের কিছু তথ্য প্রমান সাথে থাকলে অনেক সময় সাজা লাঘু হয় বা ভোগান্তি কমে।

* যেহেতু সবকিছুই কম্পিউটারে নথিভুক্ত থাকে সেহেতু কোন ভূয়া কাগজপত্র পকেটে রাখলে লাভ হবে না। বরঞ্চ ভোগান্তি বাড়বে।

২. ব্যাংকে বা কারো কাছে টাকা পয়সা জমা রাখবেন না। ব্যাংকে টাকা থাকলে সবই যাবে। কোথাও মূল্যবান জিনিষপত্র রাখবেন না। স্বর্নালংকার সাথে বা ঘরে একদমই নয়। মোটকথা ধরা পড়ুন বা না পড়ুন মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে যে, এদেশ থেকে আগামী ৫ বছরের জন্য বা চিরতরে আপনি বিদায় নিচ্ছেন। সাথে কিছুই নিতে পারবেন না।

৩. মালিক, এজেন্ট বা বন্ধু বান্ধবের ফোন নম্বর একটা কাগজে টুকে পকেটে রাখুন। ধরা পড়লে হয়তো ফোন ব্যাবহারের সুযোগ নাও হতে পারে। গুরুত্বপূর্ন দু’একটি নম্বর মুখস্থ রাখুন। যাতে ধরা পড়ার ম্যাসেজটা কারো কাছে লিখে দেয়া যায়।

৪. যথাসম্ভব নিরাপদ স্থানে থাকুন। যেখানে বেশী বিদেশী থাকে এমন এলাকায় না থাকা সবচেয়ে নিরাপদ। প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হবেন না। কারো বাসায় বেড়াতে বা বাসে গাড়ীতে চড়তেও সাবধান।

৫. ইমিগ্রেশনে ভিসা প্রসেসিং থাকলে অবশ্যই সে সব প্রমান পত্র সাথে রাখবেন।

৬. আসল কোম্পানী ছাড়া অন্যত্র কাজ করা অপরাধ। ইমিগ্রেশন অভিযান হলে বুঝতে দিবেন না বা বলবেন না যে, আপনি অন্য কোম্পানীতে কাজ করছেন। আসল মালিকের সাথে সম্পর্ক না থাকলে বিপদে পড়তে পারেন। আর এজেন্ট বা দালালর মাধ্যমে ভিসা করলেও আপনি বিপদে আছেন। কারন, হয়তো জানেন না কোন কোম্পানী এবং কে আপনার মালিক। তবে এটা কর্মস্থলে বিপদ। সাধারনত: পথে ঘাটে নয়। কোম্পানীর নাম মনে রাখুন।
চলবে।…….